জসিম উদ্দিন;খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ প্রকৃতি থেকে শরতের বিদায় হতে না হতেই হেমন্তকে পাশ কাটিয়ে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় আগাম বার্তা দিল শীত। শীতের সেই আগমনী বার্তা যেন প্রকৃতিতে এক ভিন্নরকম চাঞ্চল্য আনে। শীত ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে। ফলে মাঝ রাত থেকেই শীত অনুভূত হচ্ছে। সন্ধ্যা কিংবা রাতে হালকা গরম অনুভব হলেও মাঝ রাতের দিকে কাঁথামুড়ি দিতে হচ্ছে। আর এই অনুভূতিটাই জানান দিচ্ছে, খানসামা উপজেলায় শীত আসছে। গাছের পাতায়, ঘাসের ডগায় ও সোনালি ধানের শীষে জমেছে শিশির কনা। পাশাপাশি বাতাসে রয়েছে হিমেল অনুভূতিও।
বাংলা পঞ্জিকা অনুযায়ী এখন হচ্ছে শরৎকাল। আর একদিন পরই হেমন্ত শুরু। এরই মধ্যে এই উপজেলায় শীতের আবহ শুরু হয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন ধরে দিনে বেশ গরম আবহাওয়া বিরাজ করছে। কিন্তু শেষ রাতের দিকে হালকা ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। কেউ কেউ রাতে কাঁথা-কম্বল জড়িয়ে নিচ্ছেন। মধ্যরাতের পর থেকে হালকা কুয়াশা পড়ছে। সকাল ৮টা পর্যন্ত মাঠ-ঘাট, ঘাসের ডগা, গাছপালা, ধানের পাতায় শিশির জমে থাকছে। তবে দিনের বেলায় কিছুটা গরম অনুভূত হলেও সন্ধ্যা নামার পর একটু একটু করে কুয়াশা জড়িয়ে ধরছে প্রকৃতিকে। আজ সকালেও দেখা গেছে সেটি। এতে হালকা শীতের অনুভূতি জাগিয়ে দিয়েছে।
সকালে হাঁটতে বের হওয়া উপজেলা কাপ স্কাউট লিডার মো. নুরুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ভোর বেলায় কুয়াশা দেখা দেওয়ায় শীতশীত অনুভূত হচ্ছে। তাছাড়া দিনে গরম লাগলে ও মাঝরাতে শীত করছে। সকাল বেলা হাঁটতে খুব ভাল লাগলেও কুয়াশা স্মরণ করিয়ে দেয় যে শীত এসে গেছে। তবে সূর্য উঠার পর কুয়াশা আস্তে আস্তে কমে যায়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।